রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ও নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে ঘটনাস্থলে এসেছেন পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজনরা। তাদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠছে আশপাশের পরিবেশ।
গুরুতর আহত অবস্থায় অনেককে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে। সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় দিকে এমন ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪০ থেকে ৫০ জন।
স্থানীয়রা জানান, ভৈরব রেলওয়ে জংশনের আউটার পয়েন্ট ক্রসিংয়ে ঢাকা দিকে আসা যাত্রীবাহী ট্রেন এগারো সিন্দুর এক্সপ্রেসের শেষ দুটি বগিতে ধাক্কা দেয় চট্টগ্রামের দিকে যাওয়া কন্টেইনারবাহী আরেকটি ট্রেন। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় এগারো সিন্দুর ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি।
এ সময় চাপা পড়েন অনেক যাত্রী। শুরুতেই তাদের উদ্ধারে চেষ্টা করেন স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। একে একে উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি মরদেহ। গুরুতর আহত অনেককে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল আর যাত্রীবাহী ট্রেনটি যাচ্ছিল ভৈরব থেকে ঢাকায়। ভৈরব রেল স্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এ সময় যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে গিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ কোচগুলোতে চাপা পড়ে অনেকেই।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন ভৈরব স্টেশনে প্রবেশ করছিল। তার আগ মুহূর্তে ভৈরব থেকে এগারসিন্দুর ট্রেন ঢাকার দিকে রওনা হয়েছিল। জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় এগারসিন্দুর ট্রেনের শেষের দুই-তিনটি বগিতে কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন আঘাত করে। এতে যাত্রীবাহী এগারসিন্দুর ট্রেনের শেষের দুই-তিনটি বগি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর পরই ঢাকার সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও নোয়াখালীর ট্রেন চলাচল।